শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের কুফলঃ
- অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম শিশুদের চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- মোবাইল ব্যবহারের ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে, যা শারীরিক ও মানষিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।
- দীক্ষক্ষণ মোবাইল ব্যবহারে পিঠ ও ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে।
২. আসক্তি ও একাকীত্ব
- মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি শিশুরা বাস্তব জীবনের সামাজিক যোগাযোগ থেকে দূরে সরে যেতে পারে।
- তারা পরিবার ও বন্ধুদের সময় না দিয়ে ভার্চুয়াল দুনিয়ায় বেশি সময় ব্যয় করে।
৩. পড়াশোনার ক্ষতি
- মোবাইল ফোনে আসক্তির কারণে শিশুরা পড়াশোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ে।
- তারা মোবাইল গেম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় ব্যয় করে, ফলে মনোযোগ কমে যায় ও পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হতে পারে।
৪. খারাপ কন্টেন্টে প্রবেশ
@ ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে শিশুরা অনুপযুক্ত কন্টেন্ট (যেমন সহিংসতা, অশ্লীলতা ইত্যাদি) দেখে ফেলতে পারে।
@ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হতে পারে, যা তাদের মানসিকভাবে আঘাত করতে পারে।
৫. সামাজিক দক্ষতা হ্রাস
@ মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহারের ফলে শিশুরা বাস্তব জীবনে কম কথা বলে এবং সামাজিক দক্ষতা হারাতে থাকে।
@ তারা মুখোমুখি যোগাযোগের পরিবর্তে ভার্চুয়াল কথোপকথোনকেই বেশি প্রাধান্য দেয়।
৬. শারীরিক কার্যক্রম কমে যাওয়া
@ মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে শিশুরা বাইরে খেলাধুলা কম করে, যা তাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও সুস্থতার জন্য ক্ষতিকর।
@ এটি স্থুলতা (ওজন বৃদ্ধি) ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে।
৭. ব্যয়ের চাপ বৃদ্ধি
@ শিশুরা নানা ধরনের অ্যাপ, গেম বা সাবস্ক্রিপশনে টাকা খরচ করতে পারে, যা অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়িয়ে দেয়।
সমাধান ও করণীয়
@ শিশুদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করতে দেয়া উচিৎ।
@ পড়াশোনা ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য অভিভাবকদের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হবে।
@ প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করে অনপযুক্ত কন্টেন্ট ফিল্টার করা যেতে পারে।
@ পরিবারকে শিশুদের সাথে বেশি সময় কাটানোর ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তারা মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে না পড়ে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url